অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) সূত্রে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে, এফডিআই নীতি ও কর ব্যবস্থার সহজীকরণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যমান এফডিআই নীতি ও করপোরেট কর ব্যবস্থা নিয়ে জাপানি বিনিয়োগকারীরা প্রতিক্রিয়া জানার পরে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩১০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ঢাকায় বিনিয়োগ করা বর্তমানে জাপানের মোট এফডিআই তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার নীতিমালায় কিছু সংশোধনীর মাধ্যমে এফডিআইকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছে। একগুচ্ছ সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এনবিআরের সদস্য (কর নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (ভ্যাট নীতি) মাসুদ সাদিক এবং দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক নীতি) মেহরাজ-উল-আলম সম্রাটসহ এনবিআরের জে্যষ্ঠ কর্মকর্তারা এ কমিটিতে আছেন বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, সরকার জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য দিচ্ছে। জাপানিরা চীন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং নতুন কোনো দেশে তাদের প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চাচ্ছে।
উল্লেখ, করোনাভাইরাসের কারণে বড় বড় ব্যবসায়ী অংশীদারদের মধ্যে জাপানের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই দেশটির উৎপাদকেরা যাতে চীনের বাইরে কারখানা স্থানান্তর করতে পারে সেজন্য সহায়তা করতে জাপান ইতোমধ্যে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়োজি আন্দো সম্প্রতি ইকোনোমিক অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরামে এক বক্তৃতায় বলেছেন, প্রতিবছরই আরও অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে। তবে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও সহজ হওয়া দরকার।
জাপানি কোম্পানিগুলোর জন্য ঢাকায় বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো ও কর আরোপসহ জাপানি কোম্পানি ও অন্যান্য বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।’
চীন থেকে জাপানি কোম্পানিগুলে স্থানান্তরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, এ ক্ষেত্রে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
জেট্রোর এক বার্ষিক গবেষণার উদাহরণ তুলে ধরে আন্দো বলেন, সহজ বিনিয়োগের পথে বেশ কিছু বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশে থাকা ৭০ ভাগ জাপানি কোম্পানি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। যা অন্য যেকোনো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।